আমিষের সবচেয়ে সস্তা উৎস হিসেবে পরিচিত ডিম। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৩৩৫.৩৫ কোটি পিস ডিম উৎপাদন হয়েছে। ১০ বছরের মধ্যে এই উৎপাদন তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার হিসাবে বছরে একজন মানুষের গড়ে ১০৪টি ডিম খাওয়া দরকার।

 

আমিষের সবচেয়ে সস্তা উৎস ডিমের দাম বাড়ায় নিম্ন আয়ের অনেকে ডিম খাওয়া কমিয়ে দিচ্ছে। সীমিত ও নিম্ন আয়ের মানুষগুলোও ডিমের তরকারি দিয়ে যে ভাত খাবে সে অবস্থাও সংকুচিত হয়ে পড়ছে। এই কদিনের মধ্যে হালিপ্রতি ডিমের দাম প্রথম ধাপে ৩৮-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪২-৪৪ টাকা, পরের ধাপে ৪৫-৪৮ টাকা এবং এরপর গিয়ে ৫০ টাকায় উঠেছে।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) শনিবারের বাজার বিশ্লেষণের তথ্য বলছে, এক মাস আগের দামের তুলনা করলে এখনকার দাম ১৫.৩৮ শতাংশ বেশি। আর একবছর আগের দামের সঙ্গে তুলনা করলে এটা ৩২.৩৫ শতাংশ বেশি।

ঠিক এক বছর আগে এই সময়ে ব্রয়লার মুরগির প্রতি হালি ডিম বিক্রি হয়েছে ৩৩-৩৫ টাকায়। ডিমের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে পোল্ট্রি শিল্পের উদ্যোক্তারা বলছেন, জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহনে খরচ বেড়েছে ২৫-৩০ শতাংশ। এদিকে লোডশেডিংয়ের কারণে ঢাকার খামারী ও ছোট ছোট খামারীরা খামার বন্ধ করে দেয়ায় ডিমের সরবরাহ কমায় চাহিদা বাড়ছে।

ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএবি) সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান বলেন, এত সস্তায় আমিষের উৎস আর নেই। খামার বন্ধ হলে সরবরাহ কমবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে আমিষের উৎসের ঘাটতি তৈরি হবে।